প্রশ্ন: সুন্দরবনকে "বিশ্ব ঐতিহ্যের" অংশ হিসেবে ঘোষণা করে কোন সংস্থা?
উ: ইউনেস্কো।
প্রশ্ন: UNESCO কবে সুন্দরবনকে 'বিশ্ব ঐতিহ্যের' অংশ হিসেবে ঘোষণা করে?
উ: ৬ ডিসেম্বর, ১৯৯৭ সালে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশে মোট বনভূমির পরিমাণ কত?
উ: ২৫ লক্ষ হেক্টর বা ২৫ হাজার বর্গ কি. মি. (প্রায়)।
প্রশ্ন: পৃথিবীর বৃহত্তম 'ম্যানগ্রোভ' বন কোনটি?
উ: সুন্দরবন।
প্রশ্ন: ক্রান্তীয় পাতাঝরা বন কোথায় পাওয়া যায়?
উ: ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর, রংপুর ও দিনাজপুর।
প্রশ্ন: চিরহরিৎ পাতাঝরা বনভূমিতে পাতাঝরা গাছ কি কি?
উ: গামারী, শিমুল, কড়ই, সেগুন, জারুল।
প্রশ্ন: 'নেপিয়ার' কী?
উ: এক জাতীয় ঘাস।
প্রশ্ন: গজারী বৃক্ষ স্থায়িভাবে কী নামে পরিচিত?
উ: শাল।
প্রশ্ন: মধুপুর ও ভাওয়াল গড়ের আয়তন কত?
উ: ৪,১০৫ বর্গ কি. মি.।
প্রশ্ন: বন সংরক্ষণ আইন প্রণীত হয় কত সালে?
উ: বন আইন-১৯৯০ এবং বন আইন ২০০২।
প্রশ্ন: পরিবেশ নীতি কত সালে ঘোষণা করা হয়?
উ: ১৯৯২ সালে।
প্রশ্ন: বিভাগ অনুসারে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বনভূমি রয়েছে কোথায়?
উ: চট্টগ্রাম বিভাগে।
প্রশ্ন: চট্টগ্রাম ও রাঙামাটি বনাঞ্চলে কী কী বৃক্ষ জন্মে?
উ: গর্জন, জারুল, সেগুন, চাপালিস, গামার, বাঁশ প্রভৃতি।
প্রশ্ন: কোন গাছকে সূর্যের কন্যা বলা হয়?
উ: তুলা গাছকে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশে কোথায় কোথায় টাইডাল বন অবস্থিত?
উ: খুলনা ও পটুয়াখালী জেলার দক্ষিণাংশ উপকূলীয় বনভূমি ও সুন্দরবন এই শ্রেণীর বৃহত্তম বন। তাছাড়া কক্সবাজারের চকোরিয়াতেও এই শ্রেণীর বন রয়েছে।
প্রশ্ন: 'ম্যানগ্রোভ' কোথায় কোথায় দেখতে পাওয়া যায়?
উ: সুন্দরবন ও কক্সবাজারের উপকূলীয় জলাভূমিতে।
প্রশ্ন: পৃথিবীর বৃহত্তম 'ম্যানগ্রোভ' বন কোনটি?
উ: বাংলাদেশের সুন্দরবন।
প্রশ্ন: গোলপাতা কী কাজে লাগে?
উ: ঘরের ছাউনি হিসেবে।
প্রশ্ন: পেন্সিল তৈরি হয় কোন কাঠ থেকে?
উ: ধুন্দল।
প্রশ্ন: পরিবেশ রক্ষায় কোন গাছটি ক্ষতিকর?
উ: ইউক্লিপটাস।
প্রশ্ন: কোন জাতীয় গাছ তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পায়?
উ: বাঁশ জাতীয় (গাছ)।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের দীর্ঘতম বৃক্ষ কোনটি?
উ: বৈলাম বৃক্ষ। (এর উচ্চতা ২৪০ ফুট প্রায়)।
প্রশ্ন: মধুপুরের বনাঞ্চলের প্রধান বৃক্ষ কী?
উ: শাল।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে কতটি জেলাতে কোন রাষ্ট্রীয় বনভূমি নেই?
উ: ২৯ টি জেলায়।
প্রশ্ন: সুন্দরবনের প্রাণিজ সম্পদ কী কী?
উ: রয়েল বেঙ্গল টাইগার, হরিণ, বানর, সাপ, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি প্রভৃতি।
প্রশ্ন: সুন্দরবনের আয়তন কত?
উ: ৫,৭৪৭ বর্গ কি. মি.।
প্রশ্ন: একক হিসেবে বাংলাদেশের বৃহত্তম বন কোনটি?
উ: সুন্দরবন।
প্রশ্ন: ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের আয়তন কত?
উ: ৭,৪১২ বর্গ কি. মি. (প্রায়)।
প্রশ্ন: কোন দেশের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য সেই দেশের কতভাগ বনভূমি থাকা প্রয়োজন?
উ: শতকরা ২৫ ভাগ।
প্রশ্ন: পাহাড়ি বনাঞ্চলের আয়তন কত?
উ: ১৩,৩৫৫ বর্গ কি. মি. (প্রায়)।
প্রশ্ন: গ্রামীণ বন এলাকার আয়তন কত?
উ: ২,৭১১ বর্গ কি. মি. (প্রায়)।
প্রশ্ন: শাল বনাঞ্চলের আয়তন কত?
উ: ১,২১৪ বর্গ কি. মি. (প্রায়)।
প্রশ্ন: সুন্দরবনের আয়তন কত বর্গ মাইল?
উ: ২,৪০০ বর্গ মাইল।
প্রশ্ন: সুন্দরবনের কত শতাংশ বাংলাদেশে পড়েছে।
উ: ৬২ শতাংশ।
প্রশ্ন: অঞ্চল হিসেবে বাংলাদেশের বৃহত্তম বন কোনটি?
উ: অঞ্চল হিসেবে পাহাড়ি বা পার্বত্য চট্টগ্রাম বনাঞ্চল।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম বনাঞ্চল কোনটি?
উ: মধুপুর বনাঞ্চল।
প্রশ্ন: সুন্দরবন বাংলাদেশের কতটি জেলাকে স্পর্শ করেছে?
উ: ৫টি জেলা, যথা: খুলনা, বাগেরহাট সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী ও বরগুনা।
প্রশ্ন: সুন্দরবনে কোন কোন গাছ বেশি পাওয়া যায়?
উ: সুন্দরি, গেওয়া, কেওড়া, ধুন্দল, গোলপাতা 'প্রভৃতি।
প্রশ্ন: সুন্দরি গাছ কত দীর্ঘ হতে পারে?
উ: ৪০ থেকে ৬০ ফুট।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ব্যবহৃত কাঠের কতভাগ সুন্দর বন থেকে আসে?
উ: ৬০ ভাগ।
প্রশ্ন: মধুপুরের বনাঞ্চল কোথায় অবস্থিত?
উ: গাজীপুর, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলায়।
প্রশ্ন: ভাওয়ালের বনাঞ্চল কোথায় অবস্থিত?
উ: গাজীপুর জেলায়।
প্রশ্ন: বৈলাম বৃক্ষ কোথায় জন্মে?
উ: বান্দরবান বনাঞ্চলে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশে বন গবেষণা কেন্দ্র কোথায়?
উ: চট্টগ্রামে।
প্রশ্ন: কোন গাছের ছাল থেকে রং প্রস্তুত করা হয়?
উ: গরান।
প্রশ্ন: বাক্স ও দিয়াশলাইয়ের কাঠি প্রস্তুত হয় কোন কাঠ থেকে?
উ: গেওয়া।
প্রশ্ন: 'ম্যানগ্রোভ' কী?
উ: লোনা পানি বা কাদার মধ্যে জেগে থাকা খুঁটির মতো এক ধরনের শ্বাস গ্রহণকারী শিকড়বিশিষ্ট গাছকে 'ম্যানগ্রোভ' বলে।
প্রশ্ন: টাইডাল বন কী?
উ: যে ভূমি জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়, আবার ভাটায় শুকিয়ে যায়, তাকে টাইডাল বা জোয়ার-ভাটার বন বলে।
প্রশ্ন: পৃথিবীর বিখ্যাত টাইডান বনভূমি কোনটি?
উ: সুন্দরবন।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের কোন বনভূমি শালবৃক্ষের জন্য বিখ্যাত?
উ: ভাওয়াল ও মধুপুরের বনভূমি।
প্রশ্ন: সিলেট বনাঞ্চলের প্রধান বৃক্ষ কী কী?
উ: সেগুন, মেহগনি, জারুল ইত্যাদি।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের কোথায় কোথায় রাবার বাগান রয়েছে?
উ: রামু, মধুপুর, রাউজানে।
প্রশ্ন: সুন্দরবনের মৌয়ালীদের পেশা কী?
উ: মধু সংগ্রহ।
প্রশ্ন: চিরহরিৎ পাতাঝরা গাছ কোনগুলো?
উ: যেসব গাছের পাতা এক সঙ্গে ঝরে যায় না এবং পাতাগুলো চির সবুজ থাকে।
প্রশ্ন: ক্রান্তীয় পাতাঝরা বন কী?
উ: ক্রান্তীয় অঞ্চলে যে সব গাছের পাতা বছরে একবার সম্পূর্ণ ঝরে যায়।
প্রশ্ন: ক্রান্তীয় পাতাঝরা বনভূমি কতভাগে ভাগ করা হয়?
উ: দু'ভাগে। মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় এবং বরেন্দ্র অঞ্চলের বনভূমি।
প্রশ্ন: ক্রান্তীয় পাতাঝরা বনে কী কী গাছ পাওয়া যায়?
উ: কড়ই, হিজল, বহেরা, হরিতকি, কাঁঠাল, নিম।
প্রশ্ন: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ইংরেজি নাম কি?
উত্তর: Ministry of Environment, Forest & Climate Change.
প্রশ্ন: বাংলাদেশ বন অধিদপ্তরের ইংরেজি নাম কি?
উত্তর: Bangladesh Forest Department.
প্রশ্ন: BFIDC-এর পূর্ণরূপ কি?
উত্তর: Bangladesh Forest Industries Development Corporation.
প্রশ্ন: EPFIDC-এর প্রতিষ্ঠা কবে?
উত্তর: ১৯৫৯ সালে।
প্রশ্ন: BFRI-এর পূর্ণরূপ কি?
উত্তর: Bangladesh Forest Research Institute.
প্রশ্ন: BFRI-এর সদর দপ্তর কোথায়?
উত্তর: ষোলশহর, চট্টগ্রাম।
প্রশ্ন: উপমহাদেশে বন নীতি প্রণীত হয় কবে?
উত্তর: ১৮৯৪ সালে।
প্রশ্ন: বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার কবে প্রবর্তিত হয়?
উত্তর: ১৯৯৩ সালে।
প্রশ্ন: ফরেস্ট শব্দের উৎপত্তি হয়েছে কোন শব্দ থেকে?
উত্তর: ল্যাটিন ভাষার 'ফরিস' (Foris) শব্দ থেকে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের কোন বনভূমি শালবৃক্ষের জন্য বিখ্যাত?
উত্তর: ভাওয়াল ও মধুপুরের বনভূমি।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু বৃক্ষের নাম কি?
উত্তর: বইলাম (উচ্চতা ১০০-১৫০ ফুট)।
প্রশ্ন: সুন্দরবনের প্রধান প্রধান বৃক্ষ কি?
উত্তর: সুন্দরী, গেওয়া, কেওড়া, পশুর, বাইন, গোলপাতা ইত্যাদি।
প্রশ্ন: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় কবে প্রতিষ্ঠা করা হয়?
উত্তর: ৩ আগস্ট ১৯৮৯।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটকে কবে বন
অধিদপ্তর থেকে আলাদা করা হয়?
উত্তর: ১৯৮৫ সালে।
প্রশ্ন: বন বিভাগ প্রতিষ্ঠা ও বন ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম শুরু হয় কখন?
উত্তর: ১৮৬২ সালে।
প্রশ্ন: বন আইন প্রণীত হয় কখন?
উত্তর: ১৮৬৫ সালে।
প্রশ্ন: প্রথম বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য প্রতিষ্ঠিত হয় কখন?
উত্তর: ১৯৬০ সালে সুন্দরবনে।
প্রশ্ন: প্রথম কবে বনায়ন কার্যক্রম শুরু হয়?
উত্তর: ১৮৭১ সালে।
প্রশ্ন: জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান কবে থেকে শুরু হয়?
উত্তর: ১৯৯২ সাল থেকে।
প্রশ্ন: জাতীয় বৃক্ষমেলা শুরু হয় কোন সালে?
উত্তর: ১৯৯৪ সালে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের বনাঞ্চলকে কয় শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে ও কি কি?
উত্তর: ৫টি- ক্রান্তীয় চিরসবুজ বন (পাহাড়ি বন), ক্রান্তীয় আর্দ্র পাতাঝরা বন (শাল বন), ম্যানগ্রোভ বন, জলাভূমির বন এবং গ্রামীণ বন।
প্রশ্ন: দেশের কোন বনাঞ্চল চিরহরিৎ বন নামে পরিচিত?
উত্তর: পার্বত্য বনাঞ্চল।
প্রশ্ন: পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু গাছের নাম কি?
উত্তর: রেড উড (উচ্চতা ১১২.১ মিটার এবং ব্যাস ১৩.৩৮ মিটার)।
প্রশ্ন: রেড উড গাছ কোন এলাকায় জন্মে?
উত্তর: ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের বনভূমি মোট আয়তনের কতভাগ?
উত্তর: ১৭.৬২%।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের কতটি জেলায় রাষ্ট্রীয় বনভূমি আছে?
উত্তর: ৩৫ টি জেলায়।